হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ :
টেকনাফের প্রধান সড়ক, বেড়ি বাঁধ ও বিস্তীর্ণ বিল জুড়ে রোহিঙ্গা আর রোহিঙ্গা। ঈদের পর দিন রবিবার ৩ সেপ্টেম্বর দিনভর এ দৃশ্য দেখা গেছে। স্থানীয় প্রশাসন ও আইন শৃংখলা বাহিনী এদের সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে হোয়াইক্যং বিজিবি চেকপোস্টের পাশে মাঠে কয়েক শত রোহিঙ্গাকে বিভিন্ন যানবাহন থেকে নামিয়ে জমায়েত করে রাখা হয়েছে। একইভাবে হ্নীলা চৌধুরীপাড়া বার্মিজ সরকারী প্রাইমারী স্কুলে এবং হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদে কয়েক শত রোহিঙ্গাকে জড়ো করেছে। এ দুই স্থানে বিজিবিকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। অবার সিএনজি, টমটম, মাহিন্দ্রা, ছারপোকা, মিনি ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনযোগে ইচ্ছামত উভয় দিকে চলে যাচ্ছে। তাছাড়া লোকালয় এবং লেদা, নয়াপাড়া, কুতুপালং, বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প সমুহে ঢুকে পড়ছে বলে জানা গেছে। এমনকি অনেক রোহিঙ্গা উপকুলীয় ইউনিয়ন বাহারছড়ার শামলাপুর চলে গেছে। আবার কিছু রোহিঙ্গাকে উঞ্চিপ্রাং সরকারী প্রাইমারী স্কুলে এবং নিকটবর্তী রইক্ষং নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সব চেয়ে বেশী দেখা গেছে কাঞ্জরপাড়ায়। এখানে নাফ নদীর পাশে ধান ক্ষেতে কয়েক মাইল জুড়েই ছিল অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা। প্রধান সড়কে বিজিবি ছিল তৎপর। সারা দিন রোদে পুড়ে ঝড়ে ভিজে সন্ধ্যার সময় কয়েক হাজার রোহিঙ্গা উঞ্চিপ্রাং, কুতুবদিয়াপাড়া, কাঞ্জরপাড়া, ঝিমংখালী, মিনাবাজার প্রধান সড়কের কাছে চলে আসে। এসময় প্রধান সড়কের উভয় দিকে হাজার হাজার রোহিঙ্গা অবস্থানের কারণে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। সন্ধ্যার পর পুলিশ-বিজিবি’র পদস্থ কর্মকর্তা রোহিঙ্গা জমায়েতের পয়েন্টগুলো পরিদর্শন করেন।